অধ্যাপিকা তৌহিদা পারভীন রুমু । খুলনার ছাত্রসমাজের নিকট আপা হিসেবে পরিচিত নামটি।সাবেক ছাত্রনেতা ফয়েজুল ইসলাম টিটোর সহধর্মিণী। তিনি(রুমু) অসহায় গরিব মানুষের কাছে ভালবাসার মানুষ। নিজেকে মানবতার সেবায় নিয়োজিত রেখেছেন সর্বদা।
একটা শিশুর বেড়ে ওঠার পিছনে মায়ের ভূমিকা অপরিসীম। একটা মায়ের বিয়োগ একটা শিশুকে অকল্পনীয় সমস্যায় ফেলে। ছবিতে থাকা বাচ্চা মেয়েটির নাম সুমাইয়া।শিশুটির মা তাকে ফেলেরেখে অন্যত্র বিবাহে আবদ্ধ হয়েছে। শিশুটি তার মায়ের অভাব মোচনে দাদীর ভালবাসায় লালিত-পালিত হচ্ছে। তার দাদী ধর্মসভায় সাবেক ছাত্রনেতা দেব দুলাল বাড়ৈ বাপ্পির বাসার নিচে অবস্থিত হোটেলে আয়ার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এমতাবস্হায় শিশুটিকে প্রায়ই ধর্মসভায় দেখা যায়। আর ধর্মসভা আসলেই মাতৃভালবাসার পরম আদরে বাহুডোরে এভাবে প্রায়ই আগলে রাখার ক্ষুদ্র চেষ্টায় নিজেকে ব্যাস্ত রাখেন এই শহরের অনেকেরই পরিচিত মুখ, হাজার যুবকের শ্রদ্ধা আর ভালবাসার পাত্র, "সেভ দ্যা ফিউচার ফাউন্ডেশন" খুলনা মহানগরের সুযোগ্য সাধারন সম্পাদক, শ্রদ্বেয় তৌহিদা পারভীন রুমু।
শিশুটিকে নিজের হাতে কফি বা চা খাইয়ে দেয়া, শিশুটির চকলেটের প্যাকেট ছিড়ে তার মুখে চকলেট তুলে দেয়া, তার সাথে খুনসুটি বা হাসি-তামাশা করা, এমনকি বাচ্চাটিকে পরম আদরে জুতা পড়িয়ে দেয়ার মত পরম দায়িত্বের কাজে কখনও তিনি পিছপা হননি। তার এসব মহৎ কাজ দেখে সকলে তার প্রতি আরো হাজার-হাজার গুন শ্রদ্ধা, ভক্তি ও ভালবাসা বৃদ্ধি পায়। কবির ভাষায়-
"শোন হে মানুষ ভাই সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।"
সকলে মহান আল্লাহ্ র কাছে তার(রুমু) সুস্বাহ্য ও দীর্ঘ হায়াত দান কামনা করেন। কারন বর্তমান নকলের ভিড়ে আসল মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন। আর সেক্ষেত্রে তিনি অন্যরকম দৃষ্টান্ত হয়ে ভালকাজে উৎসাহ দানে সচেষ্ট হবেন।
0 মন্তব্যসমূহ