নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শীতের শুরু থেকে বাজারে সরবরাহ বেশি দেশি মাছের। কয়েকদিন আগে যা ছিল একবারে হাতেগোনা। কিন্তু এখন পুকুরের মাছের সরবরাহ বেড়েছে, দামও কমেছে। কার্প, রুই, কাতলা, শিং, কৈ, পুঁটি, তেলাপিয়া, চিংড়ি ও সরপুঁটি মাছে ভরপুর বাজার। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা লাগাতার অবরোধের জেরে নিত্যপণ্যের মূল্যে ঊর্ধ্ব গতি দেখা গেলেও বাজারে মাছের দাম কম জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। খানজাহান আলী থানার শিরোমনি বাজারে ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাইলে ক্ষোভ প্রকাশ করে মাছ ব্যবসায়ী মুস্তাকিন , মুরাদ, ,আজগার, জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে মাছ ক্রয় বিক্রয়ে কোন প্রভাব পড়েনি।৩য় দফার অবরোধের শেষ দিন ছিলো বৃহস্পতিবার তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার দুপুর সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বাজারে লোকজনের সমাগম চোখে পড়ার মত কিন্তু মাছ বাজারে তেমন কোনো ক্রেতা নেই। অন্যদিন যে মাছ বিক্রি হতো ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি সেই মাছ আজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, পাঙ্গাস বিক্রি হতো ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি সেই পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। শিং মাছ বিক্রেতা মিলন মিয়া বলেন, যে শিং মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হতো সেই মাছ আজ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা এভাবে যদি চলতে থাকে বেচাকেনা লাভ তো দূরের কথা গুনতে হবে লোকসান । মাছ ক্রেতা ছালাম বলেন, আগে যে মাছ ২০০ টাকা কেজি কিনতাম সেটি আজ ১৫০ টাকায় কিনেছি। আরেক ক্রেতা শামীম মিয়া ২ কেজি রুই কিনেন, তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে যে মাছ ৩৫০ টাকা কেজিতে কিনতাম সেই মাছ আজ ২৩০ টাকা কেজিতে ক্রয় করতে পেরে খুশি তিনি।শিরোমনি বাজারের দোকানি শরিফুল বলেন একটি পুকুর থেকে নিয়ে আসা সরপুঁটি ১৭০ টাকা ও কার্প মাছ ১৮০ টাকা বিক্রি করছেন।তিনি বলেন, মহেশ^রপাশার একটি বড় পুকুরে জাল দিয়ে ৩০—৪০ কেজি সরপুঁটি ও কার্প মাছ পাওয়া গেছে। একেবারে তরতাজা মাছগুলো ২০—৩০ টাকা লাভে বিক্রি করছি। এই সময়ে এমনিতে বাজারে পুকুরের মাছের ভরপুর থাকে। ’আরেক দোকানি আমাদ মিয়া রুই মাছ ও কাতলা মাছ নিয়ে এসেছেন লাখোহাটি থেকে। ওই মাছগুলো ছিল তরতাজা। মাঝারি আকারের মাছগুলো তিনি প্রতি কেজি বিক্রি করছেন ২০০ থেকে ২২০ টাকার মধ্যে।শিরোমনি পশ্চিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা ছামাদ হোসেন বলেন, ‘গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে পুকুরের মাছের দাম অনেক কমেছে। এসব মাছও তরতাজা। ’
0 মন্তব্যসমূহ