সাইফুল্লাহ তারেকঃ খুলনার মীরেরডাঙ্গা শিল্পাঞ্চলের সোনালী জুট মিল এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিম তালুকদার এর বিরুদ্ধে এবার মিলের ২ টি সচল জেনারেটর বিক্রয় এর জন্য অগ্রিম টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে । এর মধ্যে মিলের নতুন ওই ট্রাকটি ইতিমধ্যে মিল থেকে বের করা হয়েছে। আর জেনারেটর বিক্রয় কিছু টাকা হাতে পেলেও সম্পুর্ন টাকা না পাওয়াতে মিল থেকে এখনও জেনারেটর ২ টি বের করা হয়নি ,ঢাকার এক পার্টির কাছে বিক্রয় করা হয়েছে , সুবিধামতো যে কোন সময়ে বের করা হবে বলে মিলের সাধারন শ্রমিক কর্মচারী সহ একাধিক নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে। এছাড়া নতুন করে আরো এক ট্রাক ম্যাশিনারিজ ও যন্ত্রাংশ বের করার কার্যক্রম চলছে বলে ওই সুত্রে জানা যায়। নামমাত্র চালু সোনালী জুট মিল যেন লুটপাটের মহাউৎসবে পরিনত হয়েছে । একসময়ের সুনামধন্য মিলটি যেন এই লুটেদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা।মিলের মালিক কতৃপক্ষের নিকট শ্রমিক কর্মচারীদের কোটি কোটি টাকা পাওনা রয়েছে, বিনা চিকিৎসায় অর্ধাহারে অনাহারে শত শত শ্রমিক মারা গেছে, মালিক পক্ষের মৃত শ্রমিকদের দাফন, কাফন বাবদ ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও মালিকপক্ষ বর্তমানে সেটাও করছে না বলে অভিযোগ করেছেন শ্রমিকরা । মিলের প্রধান সমন্বয়কারী এম নাজমুল হুদা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিম তালুকদার যৌথভাবে লুটপাটের মহাউৎসবে নেমেছে। এদিকে সোনালী জুট মিলের শ্রমিক কর্মচারীদের চুড়ান্ত পাওনা পরিশোধ না করে রাতের আধারে মিল থেকে মালামাল বের করার মুল হোতা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিম তালুকদার এর বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ তদন্ত করে অতিদ্রত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন সাধারন শ্রমিক কর্মচারীরা । এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিম তালুকদার বলেন সোনালী জুট মিল একটি ব্যক্তিমালিকানা প্রতিষ্ঠান মিল থেকে কোন কিছু বের করা হলে সকলকে অবহিত করে বের করা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ