নিজস্ব প্রতিবেদক
খুলনা মহানগর এলাকায় ভুয়া ডিবির ওসি আল-মামুন এবং ডিবি’র এসআই আকবর পরিচয়ে নগরীর সিএনজি, ইজিবাইক, রিক্সার পিছনে এবং দোকানের বিলবোর্ডে থাকা মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে ইজিবাইক ও রিক্সার মালিকের নিকট ফোন করে জানায় যে, আমি ডিবি’র ওসি আল-মামুন বলছি। আপনার ড্রাইভার মাদকসহ ডিবির হাতে আটক হয়েছে, ড্রাইভারের নামে মামলা হবে। আপনার গাড়ী নিতে চাইলে আমার ০১৯৮১-৯৪৭৪৬২ নাম্বারে আগে বিকাশ করে, ডিবি অফিসে যোগাযোগ করেন।
একইভাবে উক্ত প্রতারক বিভিন্ন বাজার মালিক সমিতির সভাপতি ,সম্পাদক পরিচয় দিয়ে জরুরি প্রয়োজনে বিকাশের দোকান মালিকের কাছে ফোন করে দ্রুত ৫০০০, ৪০০০ সহ বিভিন্ন অংকের টাকা বিকাশ করতে বলে। এইভাবে উক্ত প্রতারক গত ২ বছর যাবৎ খুলনা মহানগর বিভিন্ন এলাকায় সিএনজি, ইজিবাইক, রিক্সা পিছনে এবং দোকানের বিলবোর্ড থাকা মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে মালিকদের ফোন দিয়ে ভুয়া ডিবির ওসি এসআই পরিচয় দিয়ে চাঁদাদাবি করে আসছিল।
এমন খবরের ভিক্তিতে শনিবার (১২ আগস্ট) জনৈক ইজিবাইক মালিক মিলন হাওলাদারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে খুলনা সদর থানাধীন নিরালা মোড় হতে শনিবার (১২ আগস্ট) গবীর রাতে অভিযান চালিয়ে উক্ত প্রতারক মোঃ আল-আমিন শেখ (৩৪), পিতা-আতিয়ার শেখ, মাতা-হেলেনা বেগম, সাং-বেলফুলিয়া, আইচগাতি, থানা-রূপসা, জেলা-খুলনা’কে ভূয়া ডিবি পরিচয়ে চাঁদা দাবীর অভিযোগে গ্রেফতার করে এবং চাঁদাদাবীতে ব্যবহৃত ২ (দুই) টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। আসামিকে গ্রেফতারকালে নিরালা বাজারে বিভিন্ন দোকানদার উক্ত স্থানে উপস্থিত হয়।
তখন উক্ত দোকান মালিকদের মধ্যে ২ জন ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। তারাও একইভাবে প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন মর্মে জানান। ডিবি’র টিম ২ জন ভুক্তভুগি ব্যক্তির নিকট থেকে প্রতারকের কথপোকথনের অডিও রেকর্ড সংগ্রহ করেন। উক্ত মোঃ আল-আমিন শেখ (৩৪) এর বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে ১ টি মাদকের মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত ভুয়া ডিবির পরিচয় দানকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে খুলনা মহানগর ডিবি প্রধান মো: নুরুজ্জামান বলেন, আমরা অভিযান প্রতিদিন চাল্লাছি কোন প্রকার মাদক, অসস্ত্র নগরীতে থাকবে না।
0 মন্তব্যসমূহ