নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে বিপর্যস্ত অঞ্চলসমূহে মেয়েদের শিক্ষা প্রসারে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণে এক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিকেলে সাতক্ষীরা শহরের মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট সেন্টারে বাংলাদেশ এডুকেশন চ্যাম্পিয়ন নেটওয়ার্কের সদস্য ডিআরআরএ ও পপি’র আয়োজনে মালালা ফান্ড এর সহযোগিতায় এ ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি।
সভাপতিত্ব করেন ডিআরআরএ’র নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন।
স্বাগত বক্তব্য দেন মালালা ফান্ড এর বাংলাদেশ রিপ্রেজেন্টেটিভ মোশারফ তানসেন।
বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ সুফিয়ান রুস্তম, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফতেমা তুজ জোহরা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার শাহজাহান কবীর, সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার আবু হেনা মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে বিশেষত বাংলাদেশের মতো দেশে মেয়েদের শিক্ষার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে। বেড়েছে শিক্ষার ব্যয়। ফলে উপকূলিয় এলাকার নারী ও শিশুরা উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বক্তরা বলেন, পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রেক্ষাপটে মেয়েদের শিক্ষার চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার প্রয়োজন। বাংলাদেশে মেয়েদের জলবায়ু সহনশীল শিক্ষা প্রসারের জন্য কার্যকর কৌশল প্রস্তাব করা। ব্যবহারযোগ্য সম্পদ ও দক্ষতাকে একত্রিত করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই শিক্ষা ব্যবস্থার পথ তৈরি করতে পারে যা মেয়েদেরকে ক্ষমতারিত করে প্রয়োজনীয় দক্ষতা গড়ে তোলার সাথে সাথে জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা জন্য প্রস্তুত করবে।
এই সমস্যা মোকাবেলায় মালালা ফান্ড এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ এডুকেশন চ্যাম্পিয়ন নেটওয়ার্ক শুরু থেকেই মেয়েদের জলবায়ু সহনশীল শিক্ষার নীতি পরিবর্তন এবং উদ্ভাবনী সমাধানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছে।
তাছাড়া বঙ্গোপসাগর গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের জন্য একটি বড় ক্ষেত্র যেখানে বছরে গড়ে ১২- ১৩ টি নিম্নচাপ তৈরি হয় এবং প্রতি বছর কমপক্ষে একটি বা দুটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত হানে। প্রতি বছর বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রকৃতিক দুর্যোগের পর অনেকে স্কুল থেকে ঝরে পড়ে। সামাজিক রীতিনীতি ও বাল্যবিবাহ সাংস্কৃতিক ও সামাজিক উপকূলীয় এলাকায় মেয়েদের শিক্ষাকে সীমিত করে ফেলে এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে মেয়ের তাদের পরিবারের অবদান শিক্ষা থেকে সরে আসে। তাই উপকূলের মেয়েদের শিক্ষা প্রসারে সম্মিলিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে জানানো হয় সভায়।
0 মন্তব্যসমূহ