সনত চক্রবর্ত্তীঃ ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রতিটি এলাকার গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কাঁঠাল। যদিও কাঁঠাল পুরো পাকা পুক্ত কাঠাল হওয়ার সময় বাকী রয়েছে ২ মাস। এখন জেলার প্রত্যেকটি উপজেলার বাড়িতে, রাস্তার ধারে ও জঙ্গলের ভেতরে থাকা গাছে ধরেছে প্রচুর কাঁঠাল। গাছের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত শোভা পাচ্ছে সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফল।
ফরিদপুরের মানুষের প্রিয় ফল ও তরকারি হিসেবে কাঁঠাল যুগ যুগ ধরে ব্যবহার করে আসছে। কাঁঠালের বিচি অনেক মানুষের প্রিয় তরকারি। বিশেষ করে কাঠালের বিচ দিয়ে ভর্তা অত্যন্ত প্রিয় সকলের, এছাড়া কাঁঠালে ইঁচড় এই এলাকার মানুষের প্রিয় খাবার ।
ফরিদপুর জেলায় কাঁঠাল স্থানীয়দের চাহিদা মেটানোর পরও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হয়ে থাকে।ফরিদপুর জেলার কাঁঠাল একটু সুস্বাদু হওয়ায় বিশেষ করে ঢাকা,গোপালগঞ্জ মাগুরা বরিশালসহ বিভাগীয় শহরে এ ফলের কদর একটু বেশি।
কাঁঠাল এক প্রকারের সবুজ রঙের সুমিষ্ট গ্রীষ্মকালীন ফল। এটি বাংলাদেশের জাতীয় ফল হিসাবে সরকারীভাবে নির্ধারিত।
কাঁঠাল এখানকার হাট-বাজারে এখনও উঠতে শুরু করেনি,তবে ইঁচড় হিসাবে এখন সবাই খেতে শুরু করেছে ।জ্যৈষ্ঠের শেষ ও আষাঢ় মাসের শুরু থেকে এখানকার হাট-বাজারে কাঁঠাল কেনাবেচা শুরু হবে এমনটি কাঁঠাল ব্যবসায়ীদের ধারণা।
ময়না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক কালিপদ চক্রবর্ত্তী বলেন,
কাঁঠাল আমার একটি প্রিয় ফল। এটি অত্যধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল। কাঁঠালের কোনো অংশই নষ্ট হয় না। কাঁঠাল যেমন জনপ্রিয়, কাঁঠালের বিচি ও খুব জনপ্রিয় খাবার। বিভিন্ন সবজির সাথে কাঁঠালের বিচি মিশিয়ে ছোট মাছ দিয়ে রান্না করা তরকারি খুব ভালো লাগে। কাঁঠালের বিচি ভর্তা,ইঁচড় অসাধারণ সব স্বাদের খাবার তৈরিতে কাঁঠালের কোন তুলনা নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম হোড় বলেন, বোয়ালমারী উপজেলায় তেমন একটা কাাঁঠালের বাগান নেই তবে গ্রাম অঞ্চলের প্রায় বাড়িতে কাঁঠাল গাছ আছে। তিনি আরো বলেন গত বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলায় কাঁঠাল ভালো হয়েছে। দিন দিন উপজেলার মানুষের মাঝে কাঁঠালের চারা রোপনের আগ্রহ বাড়ছে।
0 মন্তব্যসমূহ