Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Responsive Advertisement

ইসলামে শ্রমিকের অধিকার






 
মাওলানা মোঃ সাইদুল ইসলাম ( সাঈদ)

অধুনা বিশ্বে সবচেয়ে নির্যাতিত অবহেলিত মানুষ হলো শ্রমিক বা শ্রমজীবী মানুষ। পুঁজিপতি শিল্পপতিদের দ্বার তারা হয় শোষিত। অনেক ক্ষেত্রে কিছু কিছু মালিক তাদেরকে গোলাম মনে করে থাকে , যার কারণে তাদেরকে মানুষ হিসেবে ন্যুনতম মর্যাদাটুকুও দেয়না। শ্রমিকের সাথে এ ধরনের আচারণ সাধারণত তারাই করে থাকে, যারা মানব রচিত মতবাদে বিশ্বাসী হয়ে, নিজেদের আত্মকেন্দ্রিক চিন্তাচেতনার প্রভাবে প্রভাবিত হয় শ্রমিকের যথাযথ মর্যাদা দিতে তারা আগ্রহী নয়।অথচ তাদের উপলব্ধি করা দরকার, শ্রমিকরা কাজ না করলে তাদের মালিক হওয়ার কোন সুযোগই থাকতোনা। আর শ্রমিক শ্রণিকে দারিদ্রোর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য, মহা নবী(সঃ) শ্রমিক মালিক সকলকেই ভাই ভাই বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি নিজেকে  শ্রমিক বলে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করতেন।
শ্রমিকের মর্যাদা ঘোষণা করতে গিয়ে নবী করিম (সঃ)বলেন, শ্রমজীবী ও উপাঅর্জনকারী আল্লাহর বন্ধু।
শ্রমিকের সাথে ভালো আচারণ করা ব্যাপারে আল্লাহতালা কুরআনে হাকিমের মধ্যে ইরশাদ করেনঃ ইমানদার লোকদের মধ্যে যারা তোমাদের অধীনস্থ, তাদের সাথে নম্র ব্যবহার কর। (সুরা শোয়রা-২১৫)
অধীনস্থ শ্রমিক কর্মচারীদের প্রতি ভাল ও সমান ব্যবহারের তাকিদ দিয়ে মহানবী ( সঃ) বলেন," তোমরা যা খাবে তোমাদের অধিন্হদের তাই খেতে দেবে এবং তোমরা যা পরবে তাদেরকে তাই পরতে দেবে। (বুখারী)

আল্লাহ কুরআনে কারিমে হযরত মুসা (আঃ), হযরত শোয়াইব (আঃ) সাথে যে শর্তে চাকরি করেছিলেন, তা এভাবে বর্ণনা করেন, হযরত শোয়াইব (আঃ) কন্যাদের মধ্য থেকে একজন বল্ল, হে পিতা!  মুসা (আঃ) কে আমাদের কাজে নিয়োগ করুন।করননা শক্তিশালী ও বিশ্বস্ততার দিক থেকে আপনার সাহায্যকারী হিসেবে সে উত্তম হবে। শোয়াইব (আঃ) মুসা কে বল্লেন , আমি আমার কন্যাদ্বদের একজন কে তোমার সাথে বিবাহ দিতে চাই এই শর্তে যে,তুমি আট বছর আমার চাকরি করবে।যদি তুমি দশ বছর পূর্ণ কর,এটা তোমার ইচ্ছা । তবে আমি তোমাকে কঠিন ও দুঃসাধ্য কাজদিয়ে কষ্ট দিতে চাই না। আল্লাহ চাহেতো তুমি আমাকে সদাচারী হিসেবেই দেখতে পাবে।(সুরা কছাছ -২৬-২৭)
নবী করিম (সঃ) শ্রমিকের মর্যাদা দিতে গিয়ে,ইরশাদ করেন, তোমাদের শ্রমিক চাকর চাকরানী, কর্মচারী প্রকৃতপক্ষে তেমাদেরই ভাই,।তাদের কে আল্লাহ তায়ালা তোমাদের অধিনস্হ করে দিয়েছন। সুতরাং যার ভাইকে তার অধীন করে দিয়েছন সে তার ভাই কে যেন তাই খাওয়ায়,যা সে নিজে খায়। তাকে তাই পরিধান করায়  যা সে নিজে পরে,। 
রসুল (সঃ) সাবধান করে আরো বলেন, শ্রমিককে তার সাধ্যের অতিরিক্ত যেন কোন কাজ তার উপর না চাপায়। একান্ত যদি চাপাতেই হয়,তবে তা সমাধান করার ব্যাপারে তার সাহায্য করা উচিত। (বুখারী, মুসলিম)

বাসাবাড়িতে রান্না করার দায়িত্বে নিয়োজিত শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে, নবী করির (সঃ) বলেছেনঃ তোমাদের শ্রমিক বা খাদেম  যদি খাবার তৈরি করে এবং তা নিয়ে তোমার  কাছে আসে,যা রান্না করার সময় আগুনে তাপ ও ধোঁয়া তাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে, তখন তাকে তোমার সাথে বসিয়ে খাওয়াবে। খানার পরিমাণ যদি অল্প হয় তবে তার হাতে এক মুঠো,দু মুটো অবশ্যই তুলে দিব।অর্থাৎ সামান্য পরিমাণ হলেও শ্রমিককে কাছে বসে খেতে দিবে। (মুসলিম)
শ্রমিকদের কে শোষণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য নবী করিম (সঃ) ঘোষণা করেন, শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তার মজুরী দিয়ে দাও। (ইবনে মাজাহ)
  প্রতারণার হাত থেক শ্রমিকদের কে রক্ষা করার জন্য, রসূল (সঃ) বলেছেন, মজুরী নির্ধারণ না করে শ্রমিক নিয়োগ করবে না। (বায়হাকী শরীফ)
 আবু হুরায়রা (রঃ) হতে বর্ণিত , রসুল (সঃ) বলেছেন, কিয়ামত দিবসে সেই ব্যক্তিকে পকরাও করা হবে যে শ্রমিককে দিয়ে কাজ পুরোপুরিভাবে করে নিয়েছে, কিন্তু তার মজুরী দেয়নি।  (বুখারী শরীফ)
মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে প্রিতির বন্ধন সৃষ্টি হলে সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে শ্রমিকদের উপর মালিকদের অত্যাচার, নির্যাতন, নিষ্ঠুরতা চিরতরে বন্ধ হবে,আর এ জন্য প্রোয়জন কুরআন, সুন্নাহর অনুসরণ করা,।
মানব রচিত কোন গ্রহন্ত কোন কালে কোন বিষয় পরিপূর্ণ অধিকার নিশ্চিত  করতে পারেনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

রামপাল

5/রামপাল/feat-tab

সাম্প্রতিক

5/সাম্প্রতিক/feat-tab

বাগেরহাট

5/বাগেরহাট/feat-tab

Facebook

Search This Blog

এখানে সার্চ করুন

জাতীয়

4/জাতীয়/grid-big

রাজনীতি

6/রাজনীতি/grid-small

সংবাদ শিরোনাম


Ads

Ads

Ads

Ads

Ads

Ads

সর্বশেষ

3/recent/post-list

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক/feat-big