লিখন বিশ্বাস, শ্রীপুর উপজেলা(মাগুরা)
একটি ছেলে একটি মেয়েকে প্রচন্ড ভালোবাসতো, কিন্তু মেয়েটা ছেলেটাকে ভালোবাসতো না। তাই, ছেলেটা একদিন মেয়েটার কাছে গিয়ে বলল, আমি তোমাকে ভালোবাসি। তুমি কেন বুঝতে পারনা? তোমার খারাপ লাগবে বলে আমি তোমার পিছু নিইনা, তোমার খারাপ লাগবে বলে আমার কথাগুলো শোনার অনুরধও করিনা। কিন্তু আজ অনুরোধ করছি আমার কথাগুলো শোনার জন্য জন্য,কারন আমি আর থাকতে পারছিনা। ঠিকমত খেতে পারছিনা, যেদিন থেকে তোমায় দেখেছি ঘুমোতে পারছিনা। ঘুমোবার সময় তোমার কথা ভাবতে ভাবতে চোখে জল চলে আসে। শুধু ভাবি তুমি কেন বুঝতে পারনা আমি তোমায় কতটা ভালোবাসি। তোমার মনে কি আমার জন্য একটুও জায়গা নেই। মেয়েটি কিছু না বলে চলে গেলো,,মেয়েটা ও ছেলেটাকে পছন্দ করতো কিন্তু বলার সাহস পেতো না সে,, কয়েকদিন পর ছেলেটা মেয়েটিকে আবার বলল, তোমাকে ছাড়া আমার নিঃসাস বন্ধ হয়ে আসছে তাই বারবার তোমার কাছে ছুটে আসতে ইচ্ছে করে,,,,তোমার সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে করে,,এইবার মেয়েটা ছেলেটাকে বলে তুমি যদি সত্যি আমাকে ভালোবাসো তাহলে তুমি একটা ভালো চাকরি করো আমি তোমার জন্য অপেক্ষায় থাকবো,,এইটা শোনার পর ছেলেটা কিছু না বলে চলে গেলো এরকম দেখতে দেখতে ৪বছর চলে গেলো মেয়েটা অপেক্ষা করতে করতে এক সময় ভাবতে লাগলো ছেলেটা মনে হয় আর আসবে না ও মনে হয় বিয়ে করে সংস্যার করছে,, একদিন হঠাৎ মেয়েটির বাড়ি থেকে বিয়ে ঠিক করলে মেয়েটি ও রাজি হয়ে গেলো বিয়েতে কিন্তু মেয়েটার মনে মনে ভাবতো যে ছেলেটা হয়তো বিয়ের আগে আসবে আবার কিছু সময় পর ই ভাবতো যে ছেলেটা হয়তো বিয়ে করে নিছে,,,মেয়েটার বিয়ের ২ দিন আগে হঠাৎ ফোন আসলো,,হ্যালো কেমন আছো,, আমি চাকরি পেয়েছে আমি এখন একটা ব্যাংকে মেনেজার পদে আছি,, ছেলেটার কথা শুনে মেয়েটা আর কান্না ধরে রাখতে পারলো না,,মেয়েটা বললো চলো আমরা পালিয়ে যায়,,ছেলেটা বল্লো কেনো পালাবো,,,মেয়েটা বল্লো আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে,,,আরে পাগলী তোমার বিয়ে আমার সাথে ঠিক হয়েছে চাকরি পাওয়ার পর আমি আমার মা বাবাকে তোমার বাড়িতে পাঠিয়েছিলাম,মেয়েটা আবার ও কান্না শুরু করলো,, তুমি আমাকে আগে কেনো বলো নাই যে তোমার সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে,,ছেলে তোমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্যই আমি তোমাকে কিছু বলিনি,,,,,,,,,,
0 মন্তব্যসমূহ