নিঃশ্বাসের পরে নিঃশ্বাসে .
আমাদের পরিচয় আমাদের মনের গহীন ভেতরে সামান্তরাল আত্মার যোগাযোগ বিনির্মাণ করতে সফল হয়েছিলো তা নিশ্চয়ই আমাদের অন্তরাত্মার জানা  |
সারাজীবন মানুষ একটু সুখের সন্ধানে মত্ত থাকে , খুঁজতে থাকে আত্মাবন্ধু সেই আত্মাবন্ধু বা সোলমেট পেয়েছি আমরা একে অন্যকে , কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস বলো মাঝখানে বাঁধার সুউচ্চ পাহাড় এসে গেল |
পাহাড় যে তোমার বড্ড পছন্দের |
তাই হয়তো এমন পাহাড় বুকের ভেতর দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন ঈশ্বর দৃঢ়তার সঙ্গে |


জালাল উদ্দিন রুমি বলেছিলেন সিংহ যখন খাদ্যের খোঁজে বের হয় তখন তাকে সবচেয়ে সুদর্শন দেখাই |
আমি কি তবে প্রথম যেই দিন তোমার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম সেই দিন এমন খাদ্যের খোঁজে বের হয়েছিলাম , হ্যাঁ সত্যিই তাই কিন্তু সেই খাদ্য পেটের জন্য নয় আত্মার জন্য ছিলো তাই হয়তো আমায় সিংহের অধিক সুদর্শন দেখাছিলো |
তুমি কত যত্ন করে তোমার আত্মায় আমার আত্মা জড়িয়ে নিয়েছিলে তার ব্যাখ্যস , কারণ , আমার জানা আমাদের গল্প |

তিন চাকা , চার চাকা বা ছয় চাকার সেই দিনরাত্রি , বিকেল - সন্ধ্যা , অফিস - বাড়ি , উদ্যান - লাইব্রেরি , ক্লাসরুম - মেলা কত সহস্র গল্প আমাদের জমেছে বলো | 
শিউলি কিংবা দোলনচাঁপা ফুল আমার প্রতিবার রেখে এসেছি অন্য কোন ভালবাসা যুগলের নামে , তবে কি আমরা জেনে গেছিলাম আমাদের এই নির্মম বিচ্ছেদ গল্পের রূপকারের কথা , আমরা কি হার মেনে নিয়েছিলাম নিয়তির তরবারির সম্মুখে ? নাকি সবার ভালো থাকার কথা চিন্তা করে নিজেদের বিসর্জন দিয়েছিলাম হৃদয়ে রক্তক্ষরণে |


তোমার সঙ্গে দেখা হয়ে ছিলো কোন এক ২৮ তারিখে ; তুমি বলেছিলে চুড়ি তোমার ভীষণ পছন্দের | একবার তোমার নামর চুড়ি কিনলাম কিন্তু কাচের চুড়ি ভেঙে গেল , সে কি মন খারাপ হলো আমার , যখন ভালো চুরি ক ' খানা আছে গুনতে শুরু করলাম দেখলাম বেঁচে গেছে ২৮ খান চুড়ি |
তারপর থেকে যতবার তোমার নামে চুড়ি কিনেছি তোমার হাতর ২৮ খানা চুড়িই পরিয়ে দিয়রছি |

আমাদের ২৮ বসন্ত কখনও ফুরাবে না , শিউল ফুল ফুলে ছেয়ে যাবে উদ্যান , রাস্তার বসিয়েছিলে কিন্তু তুমি কি জানতে এই দেবতার ক্ষমতা বড় ক্ষীণ , সে যুদ্ধজয়ের মন্ত্র জানে কিন্তু অন্যের ক্ষতি করে নয় | 
নজরুলের বিষাদমাখা চোখের মতো আমিও তোমার পানে চেয়ে থাকি প্রতীক্ষার প্রদীপ জ্বালিয়ে , যেই প্রদীপ তুমি আমার অন্তরে জ্বালিয়েছিলে মঙ্গল কামনায় | 

মেঘপুঞ্জের আবেশে প্রতিদিন তোমার নাম লেখি আকাশের বুকে তা আবার মিলিয়ে যায় , আমি আবার মেঘ সরিয়ে তোমার নাম লেখি আকাশের বুকে তা আবার ‌মিলিয়ে যায় , তারপর আমি পুরো আকাশকেই লিখে দিই তোমার নাম 🌈🌈 রংধনুর রং দিয়ে |


আজকের মতো শেষ করছি কিন্তু এই চিঠি শেষ চিঠি নয় তা তুমি জেনে রেখো | 
তুমি জানো তো , মৃত্যুবিহীন কোনো কিছুরই শেষ বলে কিছু নেই ; ঠিক তেমনি করে মৃত্যুবিহীন আমাদের মাঝে কোনো কিছুরই শেষ নেই | 


সব কিছুই বেঁচে থাকবে আবেশে  ,  আবেগে  , আর আবডালে .............📝📝📝