নাহিদ জামান রূপসা খুলনা।
নবাব সিরাজ উদ দৌলা ছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব, তার নবাবির সময় মানুষ আন্দলন সংগ্রাম বুঝতো না, তাই তো ইংরেজ, নবাব কে পরাজিত করতে, নবাবের নিজের লোকদের ব্যাবহার করে নবাবের পতন ঘটিয়ে ছিল। যখন বাংলার সুর্য্য অস্তমিত হলো, বাঙ্গালী তাদের অধিকার আদায় করা শিখেছিল, অনেক আন্দলন সংগ্রামের ফসলে হিসাবে দীর্ঘ দুইশত বছর পর ভারত মাতা কে ফিরিয়ে দিয়েছিল ইংরেজ।যাবার সময় আবার ও কুট চালে বিভক্ত হলো ভারত মাতা, পাকিস্তান এবং ভারত। আমরা বাংঙ্গালি যারা ছিলাম আমরা মনে করেছিলাম এবার নিশ্চই আমাদের ভাষা বাংলা হবে, কিন্তুু সে আশায় গুড়ে বালি আমরা রাষ্ট ভাষা পেলাম উর্দু,যেহেতু আমরা আন্দলন করতে করতে আন্দলন কি এটা বুঝি তাই আবার ও ভাষার জন্য সিন্ধান্ত হলো আন্দলনের, সিন্ধান্ত অনুযায়ি আন্দলন করে ফিরে পেলাম আমাদের বাংলা ভাষা কে, বুলেটের আঘাতে জর্জারিত ছিন্ন ভিন্ন নিথর নিরব পড়ে থাকা দেহের ভেতর থেকে রাজপথে ঝড়ে পড়া রক্তের বিনিময়ে। তার পর কেটে গেলে পঁচিশ টি বছর, উনসত্তুরের গনঅভুত্থান সত্তুরের নির্বাচন সর্ব শেষে একাত্তুরের স্বাধীন হওয়ার জন্য স্বাধিনতা সংগ্রাম,আমাদের প্রীয় নেতার নির্দেশ মেনে একটা ই শ্লোগান নিয়ে বাংলা মাতা কে আর পরাজয়ের গ্লানি বহন করতে দেওয়া হবে না, আমরা আবার ও জয় ছিনিয়ে এনে প্রমান করলাম আমরা বাঙালী আমরা আমাদের মায়ের জন্য জীবন, ই্জ্জতের তোয়াক্কা না করে মা কে স্বাধীন করেছি, মা শব্দ টি আমাদের কাছে খুবই প্রীয়, আমরা প্রতিটি পুরুষ এক জন মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নিয়েছি, পৃথিবীর সকল কিছু একদিকে, আর আমাদের মা একদিকে এই মাকে ভালোবাসে মায়ের জন্য সব কিছু করতে পারি, মাকে ভালোবাসি তাই আজ আমরা দেশের সর্বস্থরে মাকে বসিয়েছি, বাংলার মা প্রধান মন্ত্রী, বাংলার মা সকল সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবি, বাংলার মা কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, জনতার প্রতিনিধি চেয়ারম্যান মেম্বর। এত কিছুর পরও আজ কষ্টে বুকটা ফেটে যায়, মায়ের জন্য এত কিছু। তার পর যখন আমার মা, আমার বোন, আমার স্ত্রী কিছু নরপশুদের দ্বারা তাদের ইজ্জ্বত হারিয়ে কেঁদে কেঁদে বলে আমি তোমার মায়ের মত আমার ই্জ্জতহানি করো না, আমি তোমার বোনের মতন আমার ইজ্জতহানি করো না, আমি অন্য একজনের স্ত্রী, আমার ইজ্জতহানি করো না।কে শোনে কার কথা, আমার মা, বোন, স্ত্রী প্রতিদিন ধর্ষনের স্বীকার হচ্ছে, ফেসবুক, পত্রিকা, টেলিভিশন, খুললেই আমাদের বুকটা ফেটে চৌচির হয়ে যায় মনে প্রশ্ন জাগে একি হচ্ছে বাংলা মা, তোমার বুকে, আমরা তো তোমার অপমান চাই না, তুমি তো আমাদের ইজ্জত কেন তোমার ইজ্জত আজ ভুলন্ঠিত হচ্ছে নরপিচাশ দ্বারা । আজ মায়ের আর্তনাদ সমগ্র বাংলাদের বাতাশে ভেসে বেড়াচ্ছে। তাদের কান্নায় ভেসে যাচ্ছে সমগ্র বাংলাদেশের মাটি, ভয় হচ্ছে এই কান্নার জলে সমগ্র বাংলাদেশটাই নাকি সাগরে রূপ নেয়, আজ যদি আমরা মায়ের কান্না থামাতে না পারি তাহলে হয়তো মায়ের চোখের জলের কান্নায় সাগর হবে এই বাংলাদেশ। আর এই সাগরের ডুবে মরতে হবে আমাদের। আজ প্রতিবাদ না করা মানুষ গুলি কে। আমি আমার বাবার বয়সি মানুষ যারা তাদের কে বলছি, আমার বয়সি মানুষ যারা তাদের কে বলছি, আমার ছোট ভাইদের কে বলছি আজ আর বসে থাকার সময় নাই, আসুন আমরা মায়ের ইজ্জত বাঁচাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলি। আমরাই পারবো আমাদের মা কে সুরক্ষিত করতে, গুটি কয়েক নরপশুর জন্য আমার মায়ের অপমান হবে এটা কখনোই মেনে নিতে পারি না। আর আমার মা বোন আপনাদের কে বলছি, আপনাদের জন্য আমরা ঘরে বসে থাকবো না, আমরা আপনাদের ইজ্জত রক্ষার জন্য আপ্রান লড়াই করে যাবো কিন্তুু আপনারা চুপ থাকলে কখনোই আমরা এই আন্দলনে সফল হতে পারবো না, আপনাদের ব্যাথা আপনাদের কেই বুঝতে হবে, আমরা আপনাদের ভালোবাসি, তাই দেশের প্রধান মন্ত্রী আপনারা, ভালোবাসি তাই সরকারের উচ্চ পদে আপনারা,ভালোবাসি তাই রাষ্টের আইনের প্রতিটি সেক্টরে আপনারা, আপনারাই পারবেন এই গুটি কয়েক জানোয়ারদের বিচার করতে। আমরা জানোয়ার পশু গুলির সর্বচ্য শাস্তি ফাসি চাই। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ধর্ষনে সর্বচ্য শাস্তি ফাসির আইন টি পাস করবেন এটা সমগ্র বাংলাদেশের ছেলেদের দাবি, মা তোমাদের কাছে।
0 মন্তব্যসমূহ