নাহিদ জামান।


যোগ্য পিতার সন্তান, যোগ্যই হবে। এটাই স্বাভাবিক। কথায় আছে, বাবা কা বেটা সিপাহী কা ঘোড়া। বঙ্গবন্ধু সেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ট পুত্র ছিলো, সেখ রাসেল।  বঙ্গবন্ধু রাসেল, কে খুব আদর করতেন। বঙ্গবন্ধু বাইরে সফরে গেলে রাসেল কে নিয়ে যেতেন। রাসেলের চালচলন দেখে মনে হতো রাসেল ও একদিন পিতার মতই জনদরদী নেতা হবে। রাসেল যখন কিছু বুঝতো না, তখন থেকেই তার শিক্ষা শুরু তার পিতার কাছ থেকে। রাসেল বড় হয়ে বঙ্গবন্ধুর মতো জনদরদী নেতা হোক, এটা কিছু  মীর জাফর, বিশ্বাস ঘাতক  বিপদগামী সেনাবাহিনীর লোক চাইনি , তাইতো বঙ্গবন্ধু সেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পরিকল্পনার সাথে সেদিন কিছু বিপদগামী সেনাবাহিনী রাসেল কেও হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। রাসেলের  শখ ছিলো, বড় হয়ে সে সেনাবাহীনির বড় অফিসার হবে। সেদিন রাসেলের বয়স ছিলো মাত্র এগারো বছর, এই এগারো বছরের রাসেল যদি সেনাবাহিনীর বড় অফিসার হবার সপ্ন দেখতে পারে, আর তাকে বাঁচিয়ে রেখে যদি তার পিতাকে হত্যা করা হয়, বড় হয়ে সে নিশ্চই পিতৃ হত্যার প্রতিশোধ নিবে।  তাই বিপদগামী সেনাবাহিনী ১৫ আগষ্ট কালো রাতে বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার, আত্মীয়সজন সহ রাসেল কে সেদিন নির্মম নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করেছিল। রাসেল বুলেটের শব্দ শুনে যখন খাটের তলায় বসে কাঁপছিল তখন সপরিবারের হত্যার মিশনে একমাত্র রাসেল জীবিত ছিলো, তখন রাসেল কে ঐখান থেকে ধরে নিয়ে আসা হল, সকল মৃত লাশের সামনে দিয়ে লাশ দেখাতে দেখাতে। রাসেল সেদিন বার বার চিৎকার করে বলতে ছিলো আমাকে মের না, আমাকে মের না, আমি আমার মায়ের কাছে যাবো, আমাকে মায়ের কাছে যেতে দাও,  মায়ের কাছে যেতে দাও। রাসেলের কান্নায় সেদিন আকাশ বাতাস ভারী হয়ে গেলেও সেদিন সীমারদের মন গলেনি তারা হাঁসতে হাঁসতেই রাসেল কে হত্যার মাধ্যমেই হত্যার মিশন টি শেষ করে চলে যায়। সেদিন  রাসেল পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও রাসেল রয়েছে প্রতিটি মুজিব প্রেমী মানুষের অন্তরে, যতদিন এদেশে এক জন মুজিব প্রেমী মানুষ থাকবে ঐ একজন মুজিব প্রেমী মানুষের শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে অন্তরের মধ্যে রাসেল থাকবে। 
 আজ ১৮ই অক্টোবর সেখ রাসেলের জন্ম বার্ষিকী তে, গভীর ভাবে তাকে স্বরন করছি এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।