মুহাম্মদ রায়হান ইবনে আলম
--
শীতের সন্ধ্যা বেলা
দলীয় নেতার জরুরী কল।
১০ মিনিটের মধ্যে দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হতে হবে।
হালকা হাতমুখ ধুয়ে টি শার্ট আর জিন্স পড়ে দলীয় কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
৬/৭ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে গেলাম।
নেতাসহ অনেকে বসে আছে।সবাই প্রায় পরিচিত।নবাগত কয়েকটি মেয়ের দিকে দৃষ্টি গেল।
নেতা দেখামাত্র বলে উঠল,
দেখো শরিফ তোমার জন্য কতগুলো লোক বসে আছে।
-সরি দাদা,আসতে দেরি হয়ে গেল।
কার্যনির্বাহী কমিটির সভা শুরু হলো।
নবাগত মেয়েগুলো নিজেদের পরিচয় দিচ্ছে।
মনযোগ দিয়ে শুনছি।
তারপর দলীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিলাম।
সভা শেষ হলো।
নেতা কিছু টাকা দিয়ে বলল,
শরীফ টাকাগুলো নবাগত মেয়েদের দিয়ে দিও।
সকলের নামগুলো ঐ সময়ের মধ্যে মুখস্থ করে ফেলছি।
নীলা,শরতী,স্মরণিকা, স্মিতা,সুমি সকলেই টাকা নিলো।
শুধু রিয়া টাকা নিতে চাইলো না।
-ভাইয়া, টাকাগুলো রেখে দেন
আপনি সিগারেটে খরচ করবেন।
অবাক হয়ে শুনলাম।
তারপর দলীয় কার্যালয় থেকে সকলে বিদায় নিলো।
একাকি শহরে ল্যাম্পপোস্টের বাতির আলোতে হাঁটছি।
রিয়ার কথাগুলো মন খুব দাগ কেটে গেলো।
সেদিনের পর থেকে সিগারেট আর হাতে নিই নাই।
কারন দলীয় সাধারণ সম্পাদক কে সামান্য এক কর্মী অপমান করবে।
সেটা মেনে নেয়ার পাত্র আমি নই।
বাসায় ফিরে ড্রেস পরিবর্তন করে।
বেলকনিতে বসে কোনো একটা বিষয় নিয়ে ভাবছিলাম।
হঠাৎ মোবাইলের মেসেজ এ্যালাট বেজে উঠছিলো।
লক্ষ করে দেখলাম,
"শিশির কণা" নামক কেউ একজন ফেসবুকে রিকুয়েষ্ট পাঠিয়েছে।
----------(চলবে)
0 মন্তব্যসমূহ