Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Responsive Advertisement

বিএনপি সাইবার উইং সভাপতি মনিহার আক্তারের ভাবনায় ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ও ভার্চুয়াল জগতে টকশো




কামরুজ্জামান শিমুলঃ 

আমরা কি জানি গাধা আর গরুর মধ্য পার্থক্যটা কি? ঠিক ইলেকট্রিক মিডিয়া এবং ইন্টারনেটে টকশোর মধ্যে পার্থক্যটা কি তা  কিছুটা আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো আমার এ লেখার মাধ্যমে।

 আজকাল অনলাইনে অনেক  টকশো হচ্ছে মানে নেট টকশো। যারা সঞ্চালক তারা ঠিকমতো দেশ জাতি সংস্কৃতি ইতিহাস ভাষা আন্দোলন স্বাধীকার আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধ  এবং  বিএনপি বিএনপির আর্দশ ঐতিহ্য, শহীদ  জিয়ার ১৯ দফা, বেগম খালেদা জিয়ার গনতন্ত্রের লড়াই,  তারেক রহমানের আত্মত্যাগ কি তা জানেন না, এমন কি  ভালো করে  বাংলা ভাষাটাও সঠিক ভাবে  উচ্চারণ করতে পারেন না, তাদের  টকশোতে অনেক সিনিয়র নেতা নেত্রীরা আসেন।  অথচ তাদের টকশোতে ভিউ হাইয়েষ্ট ৫০ জন হবে কিনা সন্দেহ রয়েছে।  যাদেরকে আমরা কখনও রাজপথে দেখি নাই  তারা নেট  টকশোতে রাতারাতি নেতা নেএী হয়ে ভাইরাল হয়ে গেছেন।

এখন আমার এই ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের প্রশ্ন? তাদের সাথে আমাদের সিনিয়র নেতা-নেত্রীরা  কি করে আসেন টক শো তে? তা আমার বোধগম্য হয় না বলেই এ বিষয়ে আলোচনায় আসলাম।

 যে টকশোগুলোতে তারা কথা বলছেন সরকার কি তা দেখে? নাকি ৫০ জন দেখলে হয়েছে। অথবা  আপনি টকশো করেছেন এই নেতার সাথে সেই নেএীর সাথে এটা দেখানো মূল উদ্দেশ্য তাই নয় কি!  এই ধরনের টকশোগুলো অবিলম্বে বন্ধ করা হোক এবং এ বিষয়ে বিএনপির হাই কমান্ডের আশু দৃষ্টি আকর্ষণ করছি!

ইলেকট্রিক মিডিয়াতে এসে কথা বলুন তাতে সরকার জানবে আপনারা তাদেরকে নিয়ে সমালোচনা করছেন। দেশ জাতি উপলব্ধি করবে যে আজ রাজনীতির কি অবস্থা। গত বছর থেকে আমাকে বিভিন্ন টকশোতে নেওয়ার জন্য অনেকে আহবান জানিয়েছেন। কিন্তু আমি রাজি হইনি।কারণ আমি গাঁধার পিঠে  উঠে নেতা নেত্রী হতে চাই না। এখনো বিভিন্ন টকশোগুলোতে মানে টিভি টকশোতে আমাদের নেত্রীরা যখন আসে তখন আমরা অধীর আগ্রহে বসে থাকি। কারণ সেখানে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ একজন থাকবে এবং তিনি সেই  প্রতিদ্বন্দ্বীকে ঘায়েল করার জন্য তার  দলের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরবেন। যে টকশোতে আপনি ওপেন কথা বলতে পারবেন,  আপনার সামনে আপনার প্রতিপক্ষ থাকবে তাকেই  বলে টকশো। এখন এমন হচ্ছে যে কিছু মানুষ নেট  টকশোতে এসেই তাদের পরিচিত জনদের হাতে পায়ে ধরে  বলে প্লিজ  একটা কমেন্টস করেন একটু শেয়ার করেন? তা রীতিমতো হাস্যকর ব্যাপারে পরিনত হয়ে গেছে। 

 ছিঃ ধিক্কার জানাই আপনাদেরকে যে  আপনারা জেনে শুনেই  এমন টকশোতে কিভাবে আসেন? অনলাইনে টকশো করে নেতা নেএী হওয়া যায় না। এসব টকশো এতটা  খারাপ অবস্থার ভিতরে চলে গেছে যে  তার থেকেই হিরো আলমের গানের জনপ্রিয়তাই  বরং বেশি। দয়া করে এগুলো বর্জন করুণ। রাজপথে আসুন। নিজেকে অনলাইনে পরিচিত করার চেয়ে রাজপথে পরিচিত হোন।  আমার কথা হয়তো  আপনাদের কাছে খারাপ লাগবে।  তাই ক্ষমা চাচ্ছি আপনার কাছে। আমি একজন শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক হয়ে  আমাদের নেতা-নেত্রীদের  এমন  অধঃপতন  হোক আমি তা চাইনা।

 বর্জন করুণ নেট টকশো।  প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়ে কথা বলুন।  তাহলে সম্মান  অর্জন করতে পারবেন। নিজেরা নিজেরা আলু পটল তরকারি নিয়ে কথা বলার দরকার নেই। আপনাদেরকে নিয়ে অনেক হাসাহাসি করে মানুষ! (চলবে)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

রামপাল

5/রামপাল/feat-tab

সাম্প্রতিক

5/সাম্প্রতিক/feat-tab

বাগেরহাট

5/বাগেরহাট/feat-tab

Facebook

Search This Blog

এখানে সার্চ করুন

জাতীয়

4/জাতীয়/grid-big

রাজনীতি

6/রাজনীতি/grid-small

সংবাদ শিরোনাম


Ads

Ads

Ads

Ads

Ads

Ads

সর্বশেষ

3/recent/post-list

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক/feat-big