মেহেদি হাসান নয়ন (বিশেষ)ফকিরহাট প্রতিনিধি,
বাগেরহাটের ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের পাগলা শ্যামনা গড় উত্তরপাড়া গ্রামে হতদরিদ্র ও অসহায় ঋণগ্রস্থ সরোয়ার শেখের কন্যার বিয়ে ভেঙ্গে গেছে নবোলক পরিষদের ম্যানেজার এর স্বেচ্ছাচারিতায়। এ ব্যাপারে সরোয়ার শেখের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম গত ২৯ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযাগ করেছে। প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে. ইয়াসমিন বেগম একজন শারিরিক প্রতিবন্ধী ও অসহায় নারী। তিনি নবোলক পরিষদ থেকে ঋণ নিয়ে নিয়মিত পরিশোধ করে আসছিলেন। বর্তমানে করোনাকালে তার লোন পরিষদ করতে সমস্যা হচ্ছে। তিনি বর্তমানে বাড়ী ছেড়ে ঢাকায় অতি কষ্টে জীবন যাপন করছে। মেয়ের বিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে ২/৩দিন আগে তিনি ঢাকা থেকে বাড়ীতেআসেন। অভিযোগে জানান, গ্রামবাসীর আর্থিক ও মানবিক সহযোগিতায় গত ২৮ ডিসেম্বর তার মেয়ের বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। এমতবস্থায় নবোলক পরিষদের লোকজন বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে ঋণের টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করা সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এসময় তাদের একজন মাঠকর্মীর ভাই ছেলে পক্ষকে বলে এরা লোনের টাকা পরিশোধ করতে পারেনা এদর সাথে ছেলে বিয়ে দিতে নিষেধ করে। এ কথা শুনে তখন ছেলে পক্ষ মেয়ের বাড়ী ছেড়ে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন ছেলে পক্ষকে অনেক অনুরোধের পরও তারা চলে যায়। এমনি উক্ত ইয়াসমিন নবোলক পরিষদের লোকজনকে বলে আপনারা চলে যান বেশী টাকা তো আর নেই আমার মেয়ের বিয়ের পর আস্তে আস্তে পরিশোধ করে দেবো। এরপরও তারা কোন কথা না শুনে তাদেরকে নবোলক পরিষদের ম্যানেজার তাদেরকে একা সমাধানের জন্য অফিসে ডাকেন। কিন্তু তিনি কোন সমাধান না করে উল্টে স্থানীদের সাথে খারাপ আচরন করেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ইয়াসমিনের পরিবার বলেন করোনাকালে কন্যাদায়গ্রস্থ পরিবারের এমন ক্ষতি যেন আর না হয় তার জন্য প্রশাসন সহ নবলোক পরিষদ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
0 মন্তব্যসমূহ