নিজস্ব প্রতিবেদক
খুলনা সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ হিসাবে মো. কামাল হোসেন খান যোগদানের পর থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদকদ্রব্য উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতারসহ অপরাধ দমনে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে অপরাধিচক্র । সদর থানা পুলিশের একের পর এক বিশেষ অভিযান সফল হয়ে উদ্ধার করা হয়েছে অবৈধ অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য, গ্রেফতার হয়েছে সাজাপ্রাপ্ত আসামী। বিগত সময়ের থেকে বর্তমানে খুলনা সদর থানা এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অনেক ভালো এমনটাই দাবী স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ।
খুলনা সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. কামাল হোসেন খান এর আগে খানজাহান আলী থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় অপরাধ দমনে এবং থানা এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভুমিকা পালন করেন। থানায় কর্মকালিন সময়ে তার কৃতকর্মের জন্য তিনি সর্বমহলে মানবিক পুলিশ হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। খুলনা সদর থানায় যোগদানের পর থেকে তিনি তারই ধারাবহিকতা বজায় রেখেন। সঙ্গীয় অফিসারদের নিয়ে পুলিশি বিশেষ অভিযানে সফলতা অর্জন করছে । দক্ষতা ও কৌশল দিয়ে তিনি প্রায় মাদক দ্রব্য ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ অপরাধিচক্র ধরাশাই করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় খুলনা সদর থানা পুলিশ গত চব্বিশ ঘন্টার পৃথক পৃথক বিশেষ অভিযানে হেরোইন, গাঁজাসহ ৪জন মাদক ব্যবসায়ী এবং অসামাজিক কার্যকালাপে জড়িত থাকায় ৮জন নারী—পুরুষকে আটক করেছে।
খুলনা থানা পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, পুলিশের পৃথক পৃথক বিশেষ অভিযানে ৩শ গ্রাম গাঁজাসহ সোনাডাঙ্গা থানার শিকদার শামছুল আলমের বাড়ীর ভাড়াটিয়া হানিফ হাওলাদার(১৯)কে আটক করা হয়। ৩৫টি ছোট প্যাকেটে(৩ গ্রাম) হেরোইনসহ সদর থানার ৪নং গার্ড কলোনীর মো. ফারুক শেখের পুত্র মো. উজ্জল শেখ(২৮)কে আটক করেছে পুলিশ। আটক করা হয় নতুন বাজারের মো. কালাম হাওলাদারের পুত্র মো. রেজাউল হাওলাদার(৩০)কে, তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২শ ৫ গ্রাম গাঁজা। সদর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩০টি ছোট প্যাকেট(৩ গ্রাম) হেরোইন সহ রুপসা থানার রাজাপুর এলাকার মোকবুল হাওলাদারের পুত্র মো. বিল্লাল হাওলাদার(২৮)কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে খুলনা থানায় পৃথক পৃথক মাদক দ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। অপরদিকে খুলনা সদর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের বিভিন্ন হোটেলে বিশেষ অভিযান পরিচালন করেন। অভিযানে হোটেলের বিভিন্ন কক্ষ থেকে অসামাজিক কার্যকালাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় চার জন নারী ও চারজন পুরুষ সহ ৮জন কে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলো খুলনার বটিয়াঘাটার কবির মোল্যার পুত্র বাসির মোল্যা(১৮), নড়াইল জেলার কালিয়া থানার আনোয়ার মোল্যার পুত্র আরিফুল মোল্যা(১৮), একই এলাকার আকসির শিকদারের পুত্র সজল আহমেদ(১৯),খুলনার পাইকগাছার নিখিল সরদারের পুত্র হৃদয় সরকার, খুলনার দৌলতপুর থানার দেয়ানা গ্রামের মিজানের কন্যা স্বপ্না(২৫), চুনির বটতলার আনসার সরদারের কন্যা প্রিয়া(২২), যশোর জেলার অভয়নগর থানার আইয়ুব আলীর কন্যা মেঘলা(২২) এবং পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার গরঘাটা গ্রামের আকতার খন্দকারের কন্যা রাকা(২৮)কে গ্রেফতার করে পৃথক পৃথক বিজ্ঞ আদালতে সোপার্দ করা হয়েছে।
খুলনা থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. কামাল হোসেন খান বলেন, আমি রাষ্ট্রিয় দায়িত্ব পালনে অপরাধির সঙ্গে কোন আপোষ করিনা। মাদকে সঙ্গে জিরোটলারেন্স নীতিতে থাকায় আমি এবং আমার সঙ্গীয় অফিসারগণ মাদক ও অপরাধ দমনে অনেকটা সফল বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন থানার সকল অফিসার এবং সদস্যদের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং দায়িত্বশীলতার কারনে অপরাধ দমনে সফলতা আসছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ