Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Responsive Advertisement

খানজাহান আলী থানায় স্ত্রীর মামলায় পুলিশের এস আই কারাগারে



 নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  খুলনায় স্ত্রীর  দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন  মামলায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় কর্মরত পুলিশের এস আই মোঃ সোয়াদ বিন মোবারক বিপি নং  ৯৩২০২২৭০৪২।  আসামী পুলিশের ওই এস আইকে  কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ  আদালত।  তিনি খুলনার খানজাহান আলী থানার শিরোমনি গ্রামের  মৃত মোবারক হোসেনের  ছেলে।  গত  ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার  খুলনার  চিফ  জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ আদেশ দেন। জানা যায়, চলতি বছরের ২ সেপ্টেম্বর  খুলনার যোগিপোল  ইউনিয়নের জাকিয়া সুলতানা আদালতে  মামলা করেন যার মিস কেস নং ১৩৬/২৩ । বিজ্ঞ  আদালত এর নির্দেশে খানজাহান আলী থানায় গত ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি রুজু হয়।   মামলার বাদি এজাহারে  উল্লেখ করেন, ২০২২  সালের ১৬  মার্চ  সোয়াদ বিন মোবারক এর  সঙ্গে জাকিয়া সুলতানার  বিয়ে হয়। বিয়ের সময় জাকিয়া সুলতানার পিতা  পরিবার সংসারের আসবাবপত্র সহ টিভি, ফ্রিজ, ইয়ামাহা মটর সাইকেল দাবি করে যাহা তার পিতা বিয়ের সময় দিয়ে দেয় , এছাড়া  বিয়ের সময় ৬ ভরি স্বর্নের দাবি করলে সেটাও মেয়ের সুখের কথা ভেবে তার পিতা   দেয়। বিয়ের পর থেকে ১৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করতে থাকে। যৌতুকের টাকা না দেয়ায় জাকিয়া সুলতানাকে  শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। একপর্যায়ে ২ কিস্তিতে তাকে ১০ লক্ষ টাকা দেয় বাদির পিতা আসামিকে । কয়দিন ভালোভাবে চলতে থাকলে আসামি প্রাইভেটকার কেনার জন্য ২৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে উক্ত টাকা মামলার বাদী দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বাদীর ওপর নির্যাতন শুরু করে আসামি একপর্যায়ে বিয়ের কিছুদিনপর বাদীকে  এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় আসামি । এ অবস্থায় গত ২৮ আগষ্ট বাদীর পিতা আসামিকে নিয়ে মিমাংসার জন্য বসে , আসামি  বাক বিতান্ডায় করার একপর্যায়ে বাদীনির গলায় ওড়না দ্বারা গলায় প্যাচ লাগিয়ে ফাস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। আসামির আঘাতে গুরতর আহত অবস্থায় বাদিকে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। মামলার বাদী বলেন বিয়ের পর থেকে আমাকে যৌতুকের জন্য শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করা হতো । অনেক চেষ্টা করেছি সংসার করার জন্য কিন্তু আসামি যৌতুক লোভী , নারী নির্যাতনকারী ও পরসম্পদ লোভী যার কারনে সেটা আর সম্ভব হয়ে উঠেনি । বাধ্য হয়ে মামলা করেছি । তিনি আরো বলেন আসামির স্বজনরা  এখন আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহাবুর বলেন সোয়াদ বিন মোবারক চুয়াডঙ্গা সদর থানাতে এস আই পদে কর্মরত ছিলেন কিন্তু তার স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় তিনি বর্তমানে পুলিশ লাইনে ক্লোজ রয়েছেন এছাড়া বিজ্ঞ আদালতে গত ৯ নভেম্বর তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

রামপাল

5/রামপাল/feat-tab

সাম্প্রতিক

5/সাম্প্রতিক/feat-tab

বাগেরহাট

5/বাগেরহাট/feat-tab

Facebook

Search This Blog

এখানে সার্চ করুন

জাতীয়

4/জাতীয়/grid-big

রাজনীতি

6/রাজনীতি/grid-small

সংবাদ শিরোনাম


Ads

Ads

Ads

Ads

Ads

Ads

সর্বশেষ

3/recent/post-list

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক/feat-big