নিজস্ব প্রতিবেদক
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)গণিত বিভাগের অধ্যাপক ও খুলনা নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর ড. মো. বজলার রহমান(৬৪)ইন্তেকাল করেছেন(ইন্নানিল্লাহি .. .. রাজিউন)। তিনি গতকাল শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও দ্ইু কন্যা সন্তান, জামাই, নাতি-নাতনী সহ অসংখ্য গুনোগ্রাহী রেখেগেছেন।
স্বজনরা জানায়, তিনি দূরারোগ্য ব্যধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ভারতের চিকিৎসা গ্রহণ করছিলেন। আগামী ডিসেম্বর মাসে ভারতে চেকআপে যাওয়ার কথা ছিল তার। ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলে তাকে খানাবাড়ীস্থ বাড়ীতে আনা হয়। শুক্রবার ফজরের নামাজ আদায় করেন তিনি এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ে সকাল সোয়া ৮টায় পৃথিবী থেকে তিনি বিদায় নেন। গতকাল শুক্রবার জুম্মাবাদ কুয়েট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে মরহুমের জানাযার পূর্বে মরহুমের স্মৃতিচারণ করে অনুভূতিব্যক্ত করেন কুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহিরর রঞ্জন হালদার, প্রধান প্রকৌশলী এ বি এম মামুনুর রশীদ, খানাবাড়ী বায়তুল আরাফাত জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মনিরুল ইসলাম, তাবলিক জামাতের খূলনার মুরব্বি মুফতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম। জানাযায় কুয়েটের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া, রেজিষ্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার মো. আনিসুর রহমান ভূইয়া, নর্থ ওয়েন্টার্ন ইউনির্ভাসিটির ভাইস-চ্যান্সেলর(ভারপ্রাপ্ত) নওশের আলী মোড়ল, খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আনিছুর রহমান, কুয়েটের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক,কর্মকর্তা, কর্মচারী, নর্থ ওয়েন্টার্ণ ইউনির্ভাসিটির শিক্ষক, কর্মকর্তা, তাবলিক জামাতের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিল। জানাযার ইমামতি করেন মরহুমের ছোট ছেলে হাফেজ আবু বক্কর সিদ্দিক। জানাযা শেষে কুয়েট ক্যাম্পাসের উত্তর পাশে যোগিপোল কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
কুয়েটের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বজলার রহমানের মৃত্যুকে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার, প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া, বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশন এবং কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য অধ্যাপক ড. মো. বজলার রহমান কর্মজীবনে বিশ^বিদ্যালয়ের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, হল প্রভোষ্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি খানাবাড়ী বায়তুল আরাফাত জামে মসজিদের সভাপতি, তাবলিক জামাতের একজন মুরব্বি ছিলেন।
0 মন্তব্যসমূহ