নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ খানজাহান আলী থানাধিন ৪নং ওয়ার্ড খানাবাড়ী এলাকার সাতক্ষীরা বেকারীর কর্মচারী মো. শরিফুল আলম(২৫) ফ্যাক্টরীর ক্যাশ থেকে প্রায় ৫০হাজার টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে। এর আগে সিদ্দিপাশার আমতলা গ্রামের ড্রাম ও গ্রমীণ সমিতি থেকে ঋণ এবং খালিশপুর ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে মালামাল নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মা এবং বড় ভাইয়ের সাথে প্রতারণা করে প্রায় ২/৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছে খোদ তার বড় ভাই কাজী সাজ্জাদ আলী। পরিবারের অভিযোগ ইশিতা নামের এক তরুণীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক হওয়ার পর থেকে শরিফুল এ ধরনের অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। প্রেমিকা ইশিতা এবং তার মাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে ছদ্দনাম ধারণ করে এ সকল অপরাধ করতো শরিফুল এমনটাই জানিয়েছে তার স্বজনরা। গতকাল মঙ্গলবার সাতক্ষীরা বেকারীর মালিক সাহাবুদ্দিন শরিফুল আলম ওরফে সজিবকে ফ্যাক্টরীতে বসিয়ে রেখে বাহিরে গেলে সুযোগ বুঝে ক্যাশ থেকে সকল টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর এ সকল তথ্য বেরিয়ে আসে। শরিফুল আলম যশোর জেলার সিদ্দিপাশা গ্রামের সিদ্দিপাশা গ্রামের মৃত সাইফুল আলমের পুত্র।
সাতক্ষীরা বেকারীর সত্ত্বাধিকারী সাহাবুদ্দিন আহমেদ জানায়, সম্প্রতি শরিফুল আলম ওরফে সজিব নামে ফ্যাক্টরীতে কাজ নেয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তাকে অফিস কক্ষে বসিয়ে তিনি একটু বাহিরে যায়। এসে দেখে ক্যাশ ভাঙ্গা এবং শরিফুল ওরফে সজিবকে পাওয়া যাচ্ছে না। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় সকাল পৌনে ১০টা থেকে ১০টার মাত্র পনের মিনিটের মধ্যে ক্যাশ ভেঙ্গে পলিথিনের ব্যগের মধ্যে করে ক্যাশে থাকা আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বেরিয়ে যায় শরিফুল ওরফে সজিব। দ্রুত আমি খানাবাড়ীর যে বাসায় সজিব ভাড়া থাকতো সেখানে তার সন্ধানে আসি। সজিব কোথায় ্আছে তাকে হাজির করতে বল্লে ইশিতা এবং তার মা ফাতেমা খাতুন শরিফুল ওরফে সজিবের সাথে তাদের পরিচয় নেই তাকে চেনেন না বলে জানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সিদ্দিপাশা ৫নং ওয়ার্ড মেম্বর শেখ তরিকুল ইসলাম, স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর আরিফ হোসেন, শরিফুলের বড় ভাই কাজী সাজ্জাত আলী। বেরিয়ে আসতে থাকে প্রকৃত সত্য ঘটনা প্রতিবেশী এবং বাড়ীর মালিক জানায় শরিফুল এই বাসাতে থাকতেন মামাতো ভাই হিসাবে। কিন্তু শরিফুলের বড় ভাই সাজ্জাত আলীর মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসলো কখন মো. সাইফুল ইসলাম কখন সজিব নামে ধারন করে বিভিন্ন প্রতারণার কাহিনী।
শরিফুলের বড় ভাই সাজ্জাত আলী জানায়, তার ছোট ভাই ৭/৮ মাস আগে ইশিতা নামের এই মেয়ের সাথে সম্পের্কে জড়িয়ে পড়ে। তার পর থেকে প্রথমে তার দোকান থেকে ২/৩ লক্ষ ্টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তিতে তার মাকে ভুল বুঝিয়ে দুটি সমিতি থেকে ৫০ হাজার টাকার লোক নিয়ে এলাকা ছাড়া হয়। ইশিতা এবং তার প্রেমিকার মা ফাতেমাকে নিয়ে সে শিরোমণি ডাক্তার বাড়ীর উকিলের বাড়ীতে ভাড়া উঠে। সেখানে দুই মাস ভাড়া না দিয়ে পালিয়ে খানাবাড়ীর এই বাসা ভাড়া নেয়। শুনেছি এখানেও সে এখন পর্যন্ত বাড়ী ভাড়া দেয়নি। সাজ্জাত বলে এই ঘটনার আগে সিদ্দিপাশার আমতলা গ্রামের ড্রাম ও গ্রমীণ সমিতি থেকে এবং খালিশপুর ওয়ালটন প্লাজা থেকে শরিফুল আলম কিস্তিতে ঋণ নিয়ে এবং মালামাল নিয়ে উধাও হয় সে। আমার ছোট ভাই এই মেয়েটা এবং তার মায়ের ফাঁদে পড়ে এ ধরনের অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ