নাহিদ জামান
দিন দিন বেড়েই চলেছে জনসংখ্যার হার। জনসংখ্যা বাড়লেও দেশের ভুক্ষন্ড বাড়ছে না। প্রতিনিয়ত কৃষি জমি বিলীন করে বসবাসের জন্য তৈরি হচ্ছে ঘর বাড়ী। মানুষ বাড়ার কারনে জমির সল্পতা হওয়ার ফলে যাতে ফসল উৎপাদনে কোন সমস্যা না হয়। তার জন্য খাদ্যের চাহিদা পুরন করতে কৃষক যেন কৃষি কাজ করে বছরে ১২ মাসই ফসল উৎপাদন করতে পারে সেই ব্যাবস্থা করতে সরকার আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজ করে খাদ্যের চাহিদা মেটাতে সর্বত্ব চেষ্টা করে যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ কাজ করছে দিনরাত। বাংলাদেশ কৃষি নির্ভর দেশ হওয়ায় কৃষকগন কৃষি ট্রেনিং গ্রহন করে গ্রীষ্ম মৌসুমে ও ফলাচ্ছে শীত কালীন ফসল, লাউ, টমেটো, লাল শাক, পালন শাক, ফুল কপি, বাধা কপি সহ বিভিন্ন শীতকালীন ফসল।
রূপসা উপজেলার কাজদিয়া গ্রামের কৃষক সুলতান আহম্মেদ টিপু তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগীতায় শীত কালীন ফসল টমেটো উৎপাদন করেছেন গ্রীষ্মকালে। তিনি এই সসময় টমেটো উৎপাদনের জন্য বেড তৈরি করে গাছ লাগিয়ে যাতে বৃষ্টির পানি গাছের গোড়ায় না ঢুকতে পারে তার জন্য উপরে দিয়েছেন সাদা পলিথিনের ছাউনি। তার প্রতিটি গাছে ফুল ও ফল দুটোই এসেছে প্রচুর পরিমান।
এব্যাপারে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তের সহায়তায় গ্রীষ্মকালে শীতকালীন ফসল টমেটো উৎপাদন করেছি। গাছে আল্লাহর রহমতে প্রচুর পরিমান ফুল ও ফল দুটোই এসেছে। একদিন বাদে একদিন পরাগায়ন করার জন্য ফুলে ফরমান স্পে করতে হয়। ফরমান স্পে না করলে ফুল হবে কিন্তু ফল হবে না। শীত কালীন ফসল গ্রীষ্মকালে উৎপাদন করে কৃষক অনেক বেশী লাভবান হয়। একদিকে গ্রীষ্মকালে মানুষ শীত কালীন ফসল খেতে পারে অন্যদিকে কৃষক বেশী দাম পায়। এতে কষ্ট বেশী হলেও খাদ্যের চাহিদা পুরনের পাশাপাশি ভালো দাম পাই। আমি টমেটো বারী হাইব্রিড - ৮ লাগিয়েছি। এর জীবনকাল ৯০ দিন। প্রতি হেক্টরে ৪০ মেট্রিটন ফসল উৎপাদন হয়। টমেটো ছাড়াও লাভজনক পদ্ধতিতে পেয়াজ ও উৎপাদন করা যায়। টমেটো চাষের পাশাপাশি বেগুন ও ঢেরস চাষ করেছি। বেগুনের গাছ খুব ভালো হয়েছে প্রতিটি গাছে ফুল ও ফল প্রচুর পরিমান এসেছে। প্রতিদিন ঢেরস ও বেগুন বিক্রি করছি। সকল ফসল থেকে ভালো একটি মুনাফা পবো বলে আশা করছি।
0 মন্তব্যসমূহ