Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Responsive Advertisement

কুরবানির গুরুত্বপূর্ণ আমল

মুফতী মাওলানা আবুল কাশেম গোসল করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, সর্বোত্তম কাপড় পরিধান করা সুন্নত। ঈদের সালাত আদায় করা ওয়াজিব। পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া সুন্নত। মসজিদের বাইরে উন্মুক্ত ময়দানে ঈদের জামাত করা সুন্নত। এক রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে যাওয়া এবং অন্য রাস্তা দিয়ে ঈদগাহ থেকে ফিরে আসা সুন্নত। ঈদের জামাত শেষে খুতবা শোনা ওয়াজিব। ঈদগাহে যাওয়া ও আসার পথে নিম্নোক্ত তাকবির পাঠ করা সুন্নত: اَللهُ َكْبَرُ، اَللهُ أَكْبَرُ، لَاإِلَهَ إِلاَّ اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ، اللهُ أَكْبَرُ وَلِلهِ الحَمْدُ (আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ)। ঈদের দিনে শুভেচ্ছা বিনিময় হাফেজ ইবনে হাজার রহ. বলেন ‘যুবাইর ইবনে নফীর থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সময় সাহাবায়ে কেরাম ঈদের দিন সাক্ষাৎকালে একে অপরকে বলতেন, تَقَبَّلَ اللهُ مِنَّا وَمِنْكَم (তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম)। অর্থ আল্লাহ তা‘আলা আমাদের ও আপনার ভালো কাজগুলো কবুল করুন। (ফাতহুল বারী শরহু সহীহিল বুখারী-৬/২৩৯, আসসুনানুল কুবরা লিলবাইহাকী ৬৫২১) কুরবানির হুকুম কুরবানি প্রত্যেক স্বাধীন মুসলমান মুকিমের ওপর ওয়াজিব অর্থাৎ যিনি কুরবানির ঈদের দিন নিসাব পরিমান সম্পদের মালিক থাকবে। জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কোনো মুসলিম যদি সাহেবে নিসাব অর্থাৎ সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ ভরি রৌপ্য অথবা এর যেকোনো একটির মূল্যের সমপরিমাণ নগদ অর্থ বা ব্যবসার পণ্যের মালিক হন, তাঁর ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ ঈদের নামাজ পড়ার পর থেকে জিলহজ্ব মাসের বারো তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত কোরবানি করা যাবে। সামর্থ্য থাকা সত্বেও যারা কুরবানী করে না,তাদের প্রতি কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করে রাসুল (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে। (ইবনে মাজাহ-৩১২৩) কুরবানির পশুর বয়স ইসলামি শরিয়ত অনুসারে নির্ধারিত ৬ ধরনের গৃহপালিত পশু দিয়ে কুরবানি করা যাবেঃ উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়াও দুম্বা। এগুলোকে পবিত্র কুরআনের ভাষায় বলা হয় ‘বাহীমাতুল আনআম’। উটের বয়স ৫ বছর হতে হবে। গরু/ মহিষ এর বয়স ২ বছর হতে হবে। এবং একটি গরু/মহিষে ৩,৫ বা ৭ জন শরীক হতে পারবেন। ছাগল, দুম্বা, ভেড়ার ক্ষেত্রে ১ বছর হতে হবে। হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, হরজত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা (কোরবানিতে) ‘মুছিন্না’ ছাড়া জবেহ করবে না। তবে সংকটের অবস্থায় ছ’মাস বয়সী ভেড়া-দুম্বা জবেহ করতে পারবে।’ (সহিহ মুসলিম-২/১৫৫) যে ধরনের পশু দিয়ে কুরবানি হবে না দুই চোখ অন্ধ, এক চোখ অন্ধ, পা ভাঙা যা জবেহের স্থান পর্যন্ত হেটে যেতে পারে না, এমন বু্ড়ো যে হাড্ডিতে মজ্জা নেই এ ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি করা যাবে না। কান কাটা ও লেজ কাটা, অথবা কান অথবা লেজের বেশি অংশ অংশ কাটা পশু দিয়ে কুরবানি করলে হবে না। তবে কান বা লেজের বেশি অবশিষ্ট থাকলে বৈধ হবে। হজরত বারা ইবনে আযিব (রা.) কোরবানির পশু সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) হাত দিয়ে ইশারা করেছেন এবং বলেছেন, চার ধরনের পশু দ্বারা কোরবানি করা যায় না। সেগুলো হলো- যে পশুর এক চোখের দৃষ্টিহীনতা স্পষ্ট, যে পশু অতিশয় রুগ্ন, যে পশু সম্পূর্ণ খোড়া এবং যে পশু এত শীর্ণ যে- তার হাড়ে মজ্জা নেই। লোকেরা বলল, আমরা তো দাঁত, কান ও লেজে ত্রুটিযুক্ত প্রাণী (দ্বারা কোরবানি করা)ও অপছন্দ করি? তিনি বললেন, যা ইচ্ছা অপছন্দ করতে পারো। তবে তা অন্যের জন্য হারাম করো না। (সহিহ ইবনে হিব্বান-৫৯১৯) সর্বোপরি, ঈদুল আজহার গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। পশু জবাই করে গোশত আহার করার মধ্যে কুরবানি সীমাবদ্ধ নয়। কুরবানি হচ্ছে, আন্তত্যাগ। অর্থাৎ নিজেদের বিভিন্ন কিছুর মাধ্যমে আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্য আমরা যা কিছু করি। তাই প্রত্যেক সামর্থবানদের উচিত একনিষ্ঠভাবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কুরবানি করা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

রামপাল

5/রামপাল/feat-tab

সাম্প্রতিক

5/সাম্প্রতিক/feat-tab

বাগেরহাট

5/বাগেরহাট/feat-tab

Facebook

Search This Blog

এখানে সার্চ করুন

জাতীয়

4/জাতীয়/grid-big

রাজনীতি

6/রাজনীতি/grid-small

সংবাদ শিরোনাম


Ads

Ads

Ads

Ads

Ads

Ads

সর্বশেষ

3/recent/post-list

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক/feat-big