আবদুল হাকিম সবুজ রাজারহাট (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্র নিজ উদ্যোগে সমন্বিত খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছে। তিনবছর পূর্বে মাত্র ৬হাজার টাকা দিয়ে ২শত খাকিকম্বল হাসেঁর খামার শুরু করেছিলো সৌরভ ডেভিড নামের এক যুবক। নিজের পরিশ্রম ও বিনিয়োগ কাজে লাগিয়ে নিজেই নিজেকে স্বাবলম্বী করেছে সৌরভ ডেভিড। বর্তমানে খামারে প্রতিদিন তিন থেকে চারজন মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।
এই উদ্যোক্তা রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশার ইউপির কালীরপাঠ পাঠক গ্রামের স্কুল শিক্ষক সুভাস চন্দ্র সরকারের ছেলে সৌরভ সরকার ডেবিট (২৬)। সৌরভ ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। বর্তমানে সৌরভের খামারে ২৫ হাত দৈর্ঘ্য ও ১৮ হাত প্রস্থ ঘরের মধ্যে ১ হাজার ব্রয়লার মুরগী ও অন্য একটি পুকুর পাড়ে ১৫ হাত ঘরে ৩৫০ হাস রয়েছে এবং গোয়াল ঘরে ৪ টি উন্নত জাতের গরু রয়েছ। সৌরভ ৬০ শতাংশের একটি পুকুরে হাঁস পালনের পাশাপাশি একই পুকুরে মাছের চাষও করছেন।
উদ্যোক্তা সৌরভ জানান, আমার খামার থেকে গড়ে প্রতি তিন মাস নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও পরিচর্যায় বেঁড়ে ওঠা ব্রয়লার মুরগী বিক্রি করে খরচ ব্যতিত ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় হয়ে থাকে।অপরদিকে ৩৫০ টি হাসঁ আড়াই থেকে তিনমাসে আয় হয় ২৫ থেকে ৪০ হাজার ও পুকুর থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার মত আয় হয়।
প্রশিক্ষণ ও পরিচর্যা পরামর্শ কোথায় থেকে পেয়ে থাকেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন,আমি উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য খামারিদের পরামর্শে প্রতিটি সেডের হাসঁ-মুরগীর বিভিন্ন রোগে চিকিৎসা করে থাকি।
উদ্যোক্তা ও খামারি সৌরভ সরকার সাংবাদিক কে বলেন,আমি ঋন ছাড়াই খামারকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। জীবনের মহামুল্যবান সময়কে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি তারই ফল আমার এই খামার। আমার ইচ্ছে আছে,যদি সরকারি ঋন পাই তাহলে খামারের পরিধি আরও বাড়াবো,
এতে কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে।অনেক বেকার আমার খামারে কাজ করে বেকারত্ব ঘোচাতে পারবে।
0 মন্তব্যসমূহ