তাসনিম,স্টাফ রিপোর্টার
উত্তরে ঢলের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা,ডুবছে ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট,বাড়ছে পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা।সাথে আছে ভাঙ্গনও।দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু স্থানে।তবে ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ দুর্গত মানুষের।প্রবল গতির সাথে তীব্র ঘূর্ণি,ভয়ঙ্কর রূপে আত্রাই নদ ভাসিয়েছে নাটোরের বিস্তীর্ণ জনপদ।নতুন করে প্লাবিত সিঙরার নলডাঙ্গা ও গুরুদাশপুরের শতাধিক গ্রাম।বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা।অনেকেরই ঠাই আশ্রয়কেন্দ্রে।একই চিত্র রাজশাহীর বাগমারায়।বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে এখনো ঢুকছে পানি।জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ চরমে।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এমনভাবে পানি ঢুকছে যে তারা কিছু করার সুযোগই পাননি।নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার বা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরানোর কোনো সময়ই পাননি তারা।কারো কারো বাড়িতে দু-তিন যাবত চুলাও জ্বালানো সম্ভব হয়নি।এলাকাবাসীর অভযোগ মেম্বার-চেয়ারম্যানদের কেউও তাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন না।গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে একটি আঞ্চলিক সড়কের তিনটি স্থান ডুবেছে বানের জলে।ব্যাহত হচ্ছে চলাচল।সুন্দরগঞ্জ ও পলাশবাড়িতে ভেঙ্গেছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।তলিয়েছে সাত উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা।জলমগ্ন সিরাজগঞ্জের অনেক এলাকাও।সাথে নদী ভাঙ্গন তো আছেই।দুর্ভোগে নঁওগাসহ উত্তরের আরো কয়েকটি জেলার মানুষও।টাঙ্গাইলের বাসাইলে কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নৌকায় যাতায়াত করছেন অন্তত ১২টি এলাকার মানুষ।বানের জলে ডুবেছে বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেত।ভেসে গেছে অনেক মাছের ঘেরও।
তথ্যসূত্র:যমুনা টিভি
0 মন্তব্যসমূহ