(আব্দুল্লাহ্ ইবনে আলম)
আমাদের আড়ালে রয়ে যাই অনেক মানবিক গল্প।খুলনার কর্মাস কলেজে বিবিএ ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। সেই সুবাদে কলেজ হোস্টেলে থাকা হয়।লেখাপড়ার পাশাপাশি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে কাজ করি। শখ বললেও হয় আবার পেশা বললে ও হয়।কারন অর্থনৈতিক কাজগুলো কখনো শখ হয় না।হুট করে করোনা আগ্রাসনে পুরো পৃথিবী থমকে যাই, বন্ধ হয়ে হোস্টেল, বন্ধ হয়ে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ।গ্রামের বাড়ি ফিরে আসি।মানসিক ভেঙে পড়ি।আসরের নামাজ আদায়ে করে ফেসবুকে একটা স্টাটাস দিয়ে বের আসি।মাগরিব বাদ দেখতে পাই শ্রদ্ধেয় রুমু ভাবি কমেন্ট করেছে ইনবক্স চেক করো।ইনবক্সে একটা নম্বর দেয়া আছে।কৌতূহলবশ্যত কল দিই।আসসালামু আলাইকুম। অপর প্রান্ত থেকে উত্তর আসে, ওয়ালাইকুম আসসালাম।
ভাবি কল দিতে বলেছিল।
-এটা তোমার বিকাশ নম্বর সোনাভাই।
জ্বি ভাই।
আচ্ছা ব্যালেন্স চেক করো।
ব্যালেন্স চেক করে অনেকগুলি টাকা দেখতে পাই।
যে ব্যক্তির ফোনে কথা হয়েছিল,তিনি আর কেউ নন, তিনি শ্রদ্ধাভাজন ফয়েজুল ইসলাম টিটো ভাই।
ভাবির সাথে আগে তেমন পরিচয় ছিলো না,ঐদিনই প্রথম কথা হয়। কিন্তু তাঁর মানবপ্রেম মুগ্ধ করেছিলো।এই ঘটনা কোথাও ছাপা হয়নি,কেউ জানে না।
এই মানবিক নারীর অবদানের কথা আর অপ্রকাশিত রাখতে পারলাম না।টিটো ভাই ও রুমু ভাবির এমন অনেক অজানা গল্প রয়ে গেছে লোকচক্ষুর আড়ালে।
মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার নিকট তাদের নেক হায়াতের জন্য দোয়া করি।
0 মন্তব্যসমূহ